ভোলা প্রতিনিধি।।
ভোলায় স্পিডবোটের বিআইডব্লিউটিএ'র সরকারি রেট-চার্ট ছিঁড়ে ফেলা ও সুপারভাইজার কে লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৯ এপ্রিল বাংলাদেশ নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় টি এ শাখা র প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বরিশাল ভেদুরিয়া এবং ভেদুরিয়া লাহারহাট নৌপথের ভাড়া নির্ধারিত হয়। তৎপ্রেক্ষিতে বিআইডব্লিউটিএ ভোলা নদী বন্দর ভেদুরিয়া থেকে বরিশাল গামী এবং লাহারহাটগামী স্পিড বোর্ডের যাত্রী ভাড়া ৩০০ টাকা এবং ১৫০ টাকা নির্ধারণ করে দৃশ্যমান স্থানের রেট চার্ট টানিয়ে দেয়।
বিষয়টি মালিক প্রতিনিধিদের মনঃপুতন না হওয়ায় তাদের কতিপয় বিপথগামী স্পিডবোট ড্রাইভার দের দ্বারা সরকারি রেড চার্ট ছিড়ে ফেলে এতেই ক্ষান্ত হননি ভেদারিয়া ঘাটে কর্তব্যরত ট্রাফিক সুপারভাইজার মো. আল-আমিনকে জীবননাশের হুমকি প্রদর্শন করে। তাকে ঘাটে ডিউটিতে আসলে নিষেধ করে। এছাড়া তার বসার টেবিল চেয়ার ছুড়ে ফেলে দেয়। তাকে কোন নৌজানের কাগজপত্র চেক করতেও নিষেধ করে।
এ বিষয়ে স্পিডবোট মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণত সম্পাদক মো. রাছেল আখন সাংবাদিকদের কে বলেন, তিনি সরকারি নির্ধারিত স্পিডবোট ভাড়া আমরা মেনে স্পিডবোট চালাচ্ছি। এবং বিআইডব্লিউটিএ'র সুপারভাইজার কে লাঞ্ছিত করার অভিযোগটি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ'র ভোলা জেলা কর্মকর্তা মো.রিয়াদ হোসেন সাংবাদিকদের কে বলেন, বিষয়টি আমাকে লিখিতভাবে জানানো হলে আমি আমার অধীনস্থ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর এর মাধ্যমে থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। ডাইরিতে যে সকল আসামি এই ধরনের অপকর্মে লিপ্ত ছিল বলে নাম দেয়া রয়েছে তদন্ত কাজে অদ্য ৪ জুন ২০২৫তদন্ত কর্মকর্তা ঘাটে গেলে তাদের সামনে বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য ব্যানার এবং বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে সত্য ঘটনাকে আড়াল করার জন্য ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছেন।
স্পিডবোর্ড মালিক এবং ঘাট সংশ্লিষ্ট স্পিডবোট মালিক তাদের অসাধু উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এ ধরনের প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। বিআইডব্লিউটিএ এর দপ্তর বরিশাল ও রয়েছে
যদিও ওনারা মনে করেন এই দপ্তর ওনাদেরকে সহযোগিতা করছে না ইচ্ছা করলে সেই দপ্তর থেকে উনাদের রুট পারমিট নবায়ন করতে পারেন। এক্ষেত্রে আমাদের কোন ধরনের কোন আপত্তি নেই।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ সাংবাদিকদের কে জানান, মো.জসিমউদ্দিন বাদী হয়ে একটি লিখিত সাধারণ ডায়েরি করেছে। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।