থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরের হরমোন ব্যালেন্স এবং মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হাইপোথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি) বা হাইপারথাইরয়েডিজম (হরমোনের অতিরিক্ততা) নিয়ন্ত্রণে খাদ্যাভ্যাস বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
১. আয়োডিনযুক্ত লবণ: থাইরয়েড হরমোন তৈরির জন্য আয়োডিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আয়োডিনের ঘাটতিতে হাইপোথাইরয়েডিজম হতে পারে। তাই প্রতিদিনের রান্নায় আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার করুন।
২. ডিম: ডিমে আয়োডিন ও সেলেনিয়াম থাকে, যা থাইরয়েড ফাংশনের জন্য জরুরি। প্রতিদিন একটি করে সেদ্ধ ডিম বা অল্প তেলে ভাজা ডিম খেতে পারেন।
৩. দই বা গ্রিক ইয়োগার্ট: দইয়ে প্রোবায়োটিক, আয়োডিন ও প্রোটিন থাকে, যা হরমোন ব্যালান্সে সহায়তা করে। প্রতিদিন এক বাটি টক দই খাওয়া উপকারী।
৪. বাদাম: ব্রাজিল নাটসে প্রচুর সেলেনিয়াম থাকে, যা থাইরয়েড হরমোন রূপান্তরে সহায়তা করে। দিনে ২–৩টি ব্রাজিল নাটস বা মুঠো আখরোট খাওয়া যেতে পারে।
৫. মাছ: টুনা, স্যামন বা সার্ডিন মাছ আয়োডিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ। সপ্তাহে অন্তত ২ দিন মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন।
অতিরিক্ত টিপস-
১. কাঁচাকপি, ব্রকলি, ফুলকপি ইত্যাদি অতিরিক্ত খেলে হাইপোথাইরয়েডিজমে সমস্যা হতে পারে। রান্না করে খেলে এ সমস্যা কমে যায়।
২. চিনি ও প্রসেসড খাবার কম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৩. চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া থাইরয়েডের ওষুধ বা ডায়েট বদলাবেন না।